যাত্রীবাহী জাহাজ |
যাত্রীবাহী জাহাজ হচ্ছে ব্যবসায়ী জাহাজ, যার প্রাথমিক কাজ সমুদ্রে যাত্রী বহন করা। এই শ্রেণিবিন্যাসের মাঝে কার্গো জাহাজ নেই যা স্বল্প সংখ্যক যাত্রী থাকার বাবস্থা করতে পারে যেমন খুবই সাধারণ সমুদ্রে সর্বসাকুল্যে ১২ জন যাত্রী বহনকারী মালবাহী জাহাজ যার মাল বহনের তুলনায় যাত্রী পরিবহণ গৌণ। বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে আছে নকশাকৃত বিভিন্ন শ্রেণীর যাত্রী বাহী এবং মালবাহী জাহাজ। কিছুদিন আগে পর্যন্তও পারতপক্ষে সকল সামুদ্রিক লাইনার চিঠি, মাল দ্রুত পরিবহণ করতো এবং অন্যান্য কার্গো যাত্রীদের ভ্রমণকারীর মালপত্র বাবস্থাপনার জন্যে সমর্থ ছিল পণ্যসম্ভার রাখা, ভার-উত্তোলন যন্ত্র, কিং পোস্টস অথবা অন্যান্য যন্ত্রের। শুধুমাত্র কিছু দিন আগে সকল ক্রুজ জাহাজ এবং সামুদ্রিক লাইনারের এই ক্ষমতা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
সাধারণভাবে যখন যাত্রীবাহী জাহাজ সমুদ্র বাণিজ্যের অংশ তখন যাত্রীবাহী জাহাজ সৈন্যবাহী জাহাজ হিসেবেও ব্যবহার করা হয় এবং যখন এই কাজে ব্যবহার করা হয় তখন এদেরকে নৌ জাহাজে উন্নিত করা হয়।
যাত্রীবাহী জাহাজের মধ্যে আছে ফেরি, যেগুলো দিনে অথবা রাতে সমুদ্রের মধ্যে ছোট ভ্রমনের জন্য যাত্রী অথবা যানবাহন পরিবহণ করে। (সড়ক অথবা রেল যাই হোক না কেন); সামুদ্রিক লাইনার গুলো সাধারণত যাত্রী অথবা যাত্রীর কার্গো জাহাজ যা যাত্রী এবং প্রায়ই কার্গো পরিবহণ করে এবং ক্রুজ জাহাজ প্রায়ই দুতরফা সফরের যাত্রী পরিবহণ করে যেখানে সফরটি নিজে এবং জাহাজের আকর্ষণ ও বন্দর দর্শন হচ্ছে এর প্রধান আকর্ষণ।
একটি সামুদ্রিক লাইনার যাত্রীবাহী জাহাজের একটি ঐতিহ্যবাহী ধরণ। একদা এরকম লাইনার জাহাজ গুলো পৃথিবীর সকল বসতিপূর্ণ অংশে নিয়মিত চলাচল করতো। উরজাহাজের যাত্রী এবং বিশেষ কার্গো জাহাজ উন্নতির সাথে সাথে লাইন জাহাজ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে তাদের কমে যাওয়ার সাথে আনন্দ ও ফুর্তির কারনে সমুদ্র ভ্রমন বৃদ্ধি পায় এবং ২০ শতকের শেষের দিকে সামুদ্রিক লাইনার গুলো ক্রুজ জাহাজ গুলোকে স্থান ছেরে দেয় যেহেতু সেগুলো আধিপত্য বিস্তারকারী বড় যাত্রীবাহী জাহাজ যা ১০০ থেকে ১০০০ জন মানুষ বহন করে যার সাথে এর কাজের প্রধান এলাকা উত্তর আটলান্টিক সমুদ্র থেকে ক্যারাবীয় সমুদ্রে পরিবর্তিত হয়।
যদিও কিছু জাহাজের উভয় ধরনের বৈশিষ্ট্য আছে তবে দুটির নকশার প্রকৃতিতে পার্থক্য দেখা যায়ঃ সামুদ্রিক লাইনার গুলো গুরুত্ব দেয় দ্রুতি এবং ঐতিহ্যবাহী ব্যায়বাহুল্লতার উপর যেখানে ক্রুজ জাহাজ গুলো গুরুত্ব দেয় সুযোগ-সুবিধাকে (সাঁতরানোর পুল, থিয়েটার, বল কক্ষ, কেসিনো, খেলার সুবিধা ইত্যাদি)। এই অগ্রাধিকার গুলো বিভিন্ন নকশা তৈরি করে। এর সাথে সামুদ্রিক লাইনার গুলো আদর্শগত ভাবে তৈরি করা হয়েছিল ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে আটলান্টিক সমুদ্র পারি দেবার জন্য অথবা এর থেকেও দূরে যেমন দক্ষিণ আমেরিকা অথবা এশিয়া যেখানে ক্রুজ জাহাজ গুলো সাধারণত ছোট রাস্তায় চলাচল করে যার মধ্যে তীরের অথবা দ্বীপে বিরতির সুযোগ থাকে।
বেশ কিছু সময় ধরে পুরনো সামুদ্রিক জাহাজ গুলো থেকে ক্রুজ জাহাজ গুলো ছোট ছিল তবে ১৯৮০ এর দিকে এটি পরিবর্তিত হয় যখন নরওয়েজিয়ান ক্যারাবীয়ান লাইনের ডিরেক্টর নাট কলসটার সবচেয়ে বড় জীবিত লাইনার এস এস ফ্রান্স কে নিয়ে আসে এবং তাকে একটি বিশাল ক্রুজ জাহাজে পরিবর্তন করে যার নাম পুনরায় রাখেন এস এস নরওয়ে। এর সফলতা বড় ক্রুজ জাহাজের বাজার প্রদর্শন করে। একই শ্রেণীর আরও বড় জাহাজের নির্দেশ দেয়া হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সুনারদ লাইনার রানী এলিজাবেথ কে তার সবচাইতে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ এর ৫৬ বছরের শাসন থেকে সিংহাসনচ্যুত না করে। (একটি সিংহাসনচ্যুতী যা একই অবস্থানের আরও অনেক গুলোর সিংহাসনচ্যুতী ঘটায়)।
উভয় (কিউ ই ২) (১৯৬৯) এবং তার উত্তরাধিকারী সুনারদের পতাকাধারী হিসেবে (কিউ এম ২ ), যা সেবাতে আসে ২০০৪ সালে তা ছিল সংকর নির্মাণ। যেমন অ্যাটলানটিক পাড়ি দেয় এমন সামুদ্রিক লাইনার, তারা দ্রুত এবং মজবুত ভাবে তৈরি কৃত লাইন আটলান্টিক এর তীব্রতা থেকে বাচার জন্য।[১] তবে উভয় জাহাজই এর বাজারে সুযোগ সুবিধা রেখে ক্রুজ জাহাজ হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী করে নকশাকৃত। রাজকীয় ক্যারিবিয়ান লাইন থেকে কিউ এম ২ বাতিল হয়ে যায় সমুদ্রের স্বাধীনতা দ্বারা যা সবচাইতে বড় তৈরিকৃত যাত্রীবাহী জাহাজ; যাইহোক কিউ এম ২ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক লাইনার এর রেকর্ড ধরে আছে। সমুদ্রের স্বাধীনতা ২০০৯ এর অক্টোবরে বাতিল হয়ে যায় সমুদ্রের মরুদ্যান দ্বারা। [২]